স্বামী বিবেকানন্দের বাণী গুলি পড়ার আগে তাহার সম্বন্ধে না জানলেই নয়। স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন বেদান্ত দর্শনের অন্যতম প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি ছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য এবং রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিষ্ঠাতা। স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন ত্যাগের জীবন্ত মূর্ত প্রতীক এবং দেশের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি দরিদ্র এবং অসহায়দের উন্নতির জন্য আকুল চেষ্টা করেছিলেন।
এই রকম একজন যুগপুরুষ’ এর উচ্চারিত বাণী গুলি আজও যেকোনো মানুষকে অনুপ্রানিত করতে পারে এবং তাকে জীবনের সঠিক পথ দেখাতে পারে। তাহলে চলুন দেরী না করে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী গুলি পড়া শুরু করা যাক।
জীবন নিয়ে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী
জীবন নিয়ে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী গুলি একবার পড়ে দেখুন, তাহলে আপনিও জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
1. “যে রকম বীজ আমরা বুনি, সে রকমই ফসল আমরা পাই। আমরাই আমাদের ভাগ্য তৈরী করি, তার জন্য কাউকে দোষারোপ করার কিছু নেই, কাউকে প্রশংসা করারও কিছু নেই।” – স্বামী বিবেকানন্দ
2. “যে মানুষ বলে তার আর শেখার কিছু নেই সেই মানুষ তাহলে মরতে বসেছে। যতদিন বেঁচে আছো শিখতে থাকো।”– স্বামী বিবেকানন্দ
আরও পড়ুন- 100 টি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি এবং বাণী
3. “কারোর নিন্দা করবেন না, যদি আপনি সাহায্যের জন্য আপনার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন, তাহলে নিশ্চই তা বাড়ান। আর যদি না বাড়াতে পারেন, তাহলে আপনার হাত জোর করুন আর আপনার ভাইদের আশীর্বাদ করুন এবং তাদেরকে তাদের পথে যেতে দিন।” – স্বামী বিবেকানন্দ
“ভুলিও না তোমার জন্ম মায়ের জন্য বলি প্রদত্ত।” – স্বামী বিবেকানন্দ
4. “সত্যকে হাজার আলাদা আলাদা উপায়ে বলা যেতে পারে, তারপরেও সব কিছু সত্যই থাকে।” – স্বামী বিবেকানন্দ
5. “এমন কাজ করে চলো যে তুমি হাসতে হাসতে মরবে আর জগৎ তোমার জন্য কাঁদবে।” – স্বামী বিবেকানন্দ

6. “যা কিছু আপনাকে শারীরিক, বৌদ্ধিক এবং আধ্যাত্মিক ভাবে দুর্বল করে তোলে সেটাকে বিষ ভেবে প্রত্যাখ্যান করুন।” – স্বামী বিবেকানন্দ
7. “মস্তিস্ককে উচ্চ মানের চিন্তা ভাবনা দিয়ে পূর্ণ করো। দিবারাত্র এগুলোকে তোমার সামনে রেখে চলো। এগুলোর থেকে মহান কাজ বেরিয়ে আসবে।” – স্বামী বিবেকানন্দ
“শক্তিই জীবন, দুর্বলতাই মৃত্যু, বিস্তার জীবন, সংকোচন মৃত্যু, প্রেম জীবন, ঘৃণা মৃত্যু।” – স্বামী বিবেকানন্দ
8. “মহাবিশ্বের সীমাহীন পুস্তকালয় আপনার মনের ভীতর অবস্থিত।” – স্বামী বিবেকানন্দ
আরও পড়ুন- 100 টি কাজী নজরুল ইসলামের উক্তি (বাংলাদেশের জাতীয় কবি)
9. “আগুন দিয়ে যেমন লোহা চেনা যায় তেমনি মানুষের ব্যবহার দেখে তার চরিত্র বিচার করা যায়।” – স্বামী বিবেকানন্দ
10. “তারা একাই থাকেন, যারা অন্যদের জন্য জীবিত থাকেন।” – স্বামী বিবেকানন্দ

11. “নিজেকে সুখী রাখার সবচাইতে সহজ উপায় হলো অন্যকে সুখী রাখা।” – স্বামী বিবেকানন্দ
12. “মানুষজন আমাকে নিয়ে হাসে কারণ আমি তাদের থেকে আলাদা বলে। আর আমি মানুষজনকে নিয়ে হাসি কারণ তারা সবাই এক বলে।” – স্বামী বিবেকানন্দ
আরও পড়ুন- এ পি জে আব্দুল কালামের উক্তি: সফলতা পেতে সাহায্য করবে
13. “সেই নারীও ধন্য যার চোখে পুরুষ ভগবানের পিতৃভাবের প্রতীক।” – স্বামী বিবেকানন্দ
“সেবা করো তাৎপরতার সাথে। দান করো নির্লিপ্ত ভাবে। ভালোবাসো নিঃস্বার্থভাবে। ব্যয় করো বিবেচনার সাথে। তর্ক করো যুক্তির সাথে। কথা বলো সংক্ষেপে।” – স্বামী বিবেকানন্দ
14. “প্রতিদিন নিজের সাথে একবার কথা বলুন।নাহলে আপনি পৃথিবীর একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তির সাথে কথা বলার সুযোগ হাতছাড়া করবেন।” – স্বামী বিবেকানন্দ
15. “মস্তিষ্ক এবং হৃদয়ের মধ্যে যদি কখনো কোনও দ্বন্দ্ব হয় তাহলে আপনি শুধুমাত্র হৃদয়কে অনুসরন করুন।” – স্বামী বিবেকানন্দ

16. “আমাদের জীবনের সবচেয়ে সুখকর মুহুর্ত সেইগুলি, যখন আমরা নিজেদের একেবারে ভুলে যাই।” – স্বামী বিবেকানন্দ
17. “বেদান্তে সংগ্রামের স্থান আছে, কিন্তু ভয়ের স্থান নাই। যখনই স্বরূপ সম্বন্ধে দৃঢ়ভাবে সচেতন হইতে শুরু করিবে, তখনই সব ভয় চলিয়া যাইবে। নিজেকে বদ্ধ মনে করিলে বদ্ধই থাকিবে, মুক্ত ভাবিলে মুক্তই হইবে।” – স্বামী বিবেকানন্দ
“শিক্ষা হচ্ছে মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যে থাকা উৎকর্ষের প্রকাশ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
18. “যখন আপনি ব্যস্ত থাকেন তখন সব কিছুই সহজ বলে মনে হয় কিন্তু অলস হলে কোনো কিছুই সহজ বলে মনে হয়না।” – স্বামী বিবেকানন্দ
আরও পড়ুন- হুমায়ূন আহমেদের উক্তি (humayun ahmed quotes in bengali)
19. “জীবন ও মৃত্যু একটা ব্যাপারেরই বিভিন্ন নাম মাত্র। একই টাকার এপিঠ ওপিঠ। উভয়েই মায়া। এ অবস্থাটাকে পরিস্কার করে বোঝাবার জো নেই। একসময় বাঁচবার চেষ্টা হচ্ছে আবার পর মুহর্তেই বিনাশা বা মৃত্যুর চেষ্টা।” – স্বামী বিবেকানন্দ
20. “চালাকির দ্বারা কোন মহৎ কাজ হয় না।” – স্বামী বিবেকানন্দ

21. “সত্যের জন্য সব কিছুকে ত্যাগ করা চলে, কিন্তু কোন কিছুর জন্য সত্যকে বর্জন করা চলে না।” – স্বামী বিবেকানন্দ
22. “আমরা যেন নাম, যশ ও প্রভুত্ব-স্পৃহা বিসর্জন দিয়া কর্মে ব্রতী হই। আমরা যেন কাম, ক্রোধ ও লোভের বন্ধন হইতে মুক্ত হই। তাহা হইলেই আমরা সত্যবস্তু লাভ করিব।” – স্বামী বিবেকানন্দ
“মানুষ জ্ঞানের পরিচয় দেয় কথায়, যোগ্যতার পরিচয় দেয় কর্মে আর মনুষ্যত্বের পরিচয় দেয় ব্যবহারে।” – স্বামী বিবেকানন্দ
23. “মনের মতো কাজ পেলে অতি মূর্খও করতে পারে। যে সকল কাজকেই মনের মতো করে নিতে পারে, সেই বুদ্ধিমান।” – স্বামী বিবেকানন্দ
24. “জ্ঞানের আলো জ্বালো এক মুহূর্তে সব অশুভ চলে যাবে।” – স্বামী বিবেকানন্দ
25. “শুধু বড়ো লোক হয়ো না… বড় মানুষও হও।” – স্বামী বিবেকানন্দ

26. “প্রত্যেক নারী পুরুষকে ইশ্বরের দৃষ্টিতে দেখতে থাকো। তোমরা কাউকেই সাহায্য করতে পারোনা, কেবল সেবা করতে পারো। নিজেদের খুব বড়ো কিছু ভেবনা। তোমরা ধন্য যে সেবা করার অধিকার পেয়েছো, অন্যরা তা পায়নি।” – স্বামী বিবেকানন্দ
“পবিত্র, বিশুদ্ধ স্বভাব, এবং নিংস্বার্থ প্রেমসম্পন্ন মানুষ হও৷ দরিদ্র, দুঃখী, পদদলিত মানুষজনকে ভালোবাসো, ভগবান তোমাকে আশীর্বাদ করিবেন।” – স্বামী বিবেকানন্দ
27. “অসংযত ও উচ্ছৃঙ্খল মন আামাদের নিয়তি নিম্ন থেকে নিম্নতর স্তরে নিয়ে যাবে এবং চরমে আমাদের বিধ্বস্ত করবে, ধ্বংস করবে। আর সংযত ও সুনিয়ন্ত্রিত মন আমাদের রক্ষা করবে, মুক্তিদান করবে।” – স্বামী বিবেকানন্দ
প্রেম নিয়ে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী
প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী গুলি নীচে দেওয়া হল-
1. “যারা তোমাকে সাহায্য করেছে, তাদের কখনও ভুলে যেও না। যারা তোমাকে ভালোবাসে, তাদের কখনও ঘৃণা কোরো না। যারা তোমাকে বিশ্বাস করে, তাদের কখনও ঠকিয়ো না।” – স্বামী বিবেকানন্দ
2. “আমাকে ঘৃণা করো অথবা ভালোবাসো, দুটোই আমার পক্ষে। যদি আমাকে ভালোবাসো তাহলে আমি তোমার হৃদয়ে থাকবো, আর যদি আমাকে ঘৃণা করো তাহলে আমি তোমার মনে থাকবো।” – স্বামী বিবেকানন্দ
“কখনও কাউকে সুযোগ দিওনা আপনার হাসিটাকে চুরি করার জন্য। কারণ এটাই আপনার জীবনের সবচেয়ে দামী সম্পদ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
3. “ভালোবাসা দাও, সেবা দাও, সাহায্য দাও, যতটুকু তোমার কাছে আছে সব দিয়ে দাও। কিন্তু সাবধান, বিনিময়ে কিছু চেয়োনা তাহলে দুঃখ পাবে।” – স্বামী বিবেকানান্দ
আরও পড়ুন- বিল গেটসের উক্তি: ধনী হতে সাহায্য করবে
4. “ঘৃণার শক্তি অপেক্ষা প্রেমের শক্তি অনেক বেশী শক্তিমান।” – স্বামী বিবেকানন্দ

5. “কান্নায় অনন্ত সুখ আছে তাইতো কাঁদতে এতো ভালোবাসি।” – স্বামী বিবেকানান্দ
6. “মন কোন ডাস্টবিন নয় যে, এখানে রাগ, ঘৃণা, ঈর্ষা রাখতে হবে। এটি একটি অমূল্য সম্পদের ভরা বাক্স। যেখানে থাকবে সুখ ভালোবাসা আর কিছু মিষ্টি স্মৃতি।” – স্বামী বিবেকানান্দ
“যদি তুমি সঠিক হও তাহলে তুমি তা প্রমাণ করার চেষ্টা করো না। চুপচাপ অপেক্ষা করো, সময় সব কিছুর জবাব দিয়ে যাবে।” – স্বামী বিবেকানান্দ
7. “উদ্দেশ্য ছাড়া কেউ কাছে আসে না, আর স্বার্থ ছাড়া কেউ পাশে থাকে না।” – স্বামী বিবেকানান্দ
8. “অন্যকে আঘাত করা মানে নিজেকে আঘাত করা, অন্যকে ভালোবাসা মানে নিজেকে ভালোবাসা।” – স্বামী বিবেকানন্দ

9. “আমাদের মধ্যে যত বেশী প্রেম, পবিত্রতা বৃদ্ধি পাবে ততই আমরা প্রতিটি মানুষের মধ্যে এগুলি খুজে পাব।” – স্বামী বিবেকানান্দ
10. “একাকীত্ব তোমাকে যা শেখাবে পৃথিবীর কোন ভালো বই তোমাকে তা শেখাতে পারবে না।” – স্বামী বিবেকানান্দ
11. “ইচ্ছা, অজ্ঞতা এবং বৈষম্য – এই তিনটিই হলো বন্ধনের ত্রিমূর্তি” – স্বামী বিবেকানন্দ
সফলতা নিয়ে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী
স্বামী বিবেকানন্দের যে সমস্ত বাণী আছে তার মধ্যে সফলতার বাণী গুলো অন্যতম। স্বামীজির এই সমস্ত বাণী গুলি আপনাকে ভীতর থেকে অনুপ্রাণিত করবে এবং সফল হতে সাহায্য করবে।
1. “নিজেদের বিপদ থেকে টেনে তোলো। তোমার উদ্ধার-সাধন তোমাকেই করতে হবে। ভীত হয়ো না। বারবার বিফল হয়েছো বলো নিরাশ হয়ো না। কাল সীমাহীন, অগ্রসর হতে থাকো, বারবার তোমার শক্তি প্রকাশ করতে থাকো, আলোক আসবেই।” – স্বামী বিবেকানন্দ
2. “যেই রকম আপনি ভাববেন ঠিক সেইরকমই আপনি হয়ে যাবেন। যদি আপনি নিজেকে দুর্বল হিসাবে বিবেচনা করেন তাহলে আপনি দুর্বল হয়ে যাবেন আর আপনি যদি নিজেকে শক্তিশালী মনে করেন, তাহলে আপনি শক্তিশালী হয়ে উঠবেন।” – স্বামী বিবেকানন্দ
“কখনো না বলো না, কখনো বলোনা আমি করতে পারবো না। তুমি অনন্ত এবং সব শক্তি তোমার ভিতরে আছে, তুমি সব কিছুই করতে পারো।” – স্বামী বিবেকানন্দ
3. “নিজের জীবনে ঝুঁকি নিন, যদি আপনি জেতেন তাহলে নেতৃত্ব করবেন আর যদি হারেন তাহলে আপনি অন্যদের সঠিক পথ দেখাতে পারবেন।” – স্বামী বিবেকানন্দ
4. “একদিনে অথবা একবছরে সফলতার আশা করো না। সবসময় শ্রেষ্ঠ আদর্শকে ধরে রাখার চেষ্টা করো।” – স্বামী বিবেকানন্দ
আরও পড়ুন- চাণক্য নীতি: জীবনকে আরও সহজ করে দেবে
5. “দুনিয়া আপনার সম্বন্ধে কি ভাবছে সেটা তাদের ভাবতে দিন। আপনি আপনার লক্ষ্যগুলিতে দৃঢ় থাকুন, দুনিয়া একদিন একদিন আপনার পায়ের সম্মুখে হবে।” – স্বামী বিবেকানন্দ

6. “একটি সময়ে একটিই কাজ করো এবং সেটা করার সময় নিজের সবকিছুই তার মধ্যে ব্যয় করে দাও।” – স্বামী বিবেকানন্দ
7. “অন্য কারোর জন্য অপেক্ষা করো না, তুমি যা করতে পারো সেটা করো কিন্তু অন্যের উপর আশা করো না।” – স্বামী বিবেকানন্দ
“সব শক্তিই আপনার মধ্যে আছে সেটার উপর বিশ্বাস রাখুন, এটা বিশ্বাস করবেন না যে আপনি দুর্বল। দাঁড়ান এবং আপনার মধ্যেকার দৈবত্বকে চিনতে শিখুন।” – স্বামী বিবেকানন্দ
8. “জেগে ওঠো, সচেতন হও এবং লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না।” – স্বামী বিবেকানন্দ
9. “যদি সত্যিই মন থেকে কিছু করতে চাও তাহলে পথ পাবে, আর যদি না চাও তাহলে অজুহাত পাবে।” – স্বামী বিবেকানন্দ
10. “উঁচুতে উঠতে হলে তোমার ভিতরের অহংকার কে – বাহিরে টেনে বের করে আনো, এবং হালকা হও। কারণ তারাই ওপরে উঠতে পারে যারা হালকা হয়।” – স্বামী বিবেকানন্দ

11. “নিজেকে দুর্বল মনে করা সবথেকে বড়ো পাপ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
12. “যে ব্যক্তিতে সত্য, পবিত্রতা ও নিঃস্বার্থপরতা বর্তমান -স্বর্গে, মর্তে বা পাতালে এমন কোনো শক্তি নেই যে তাকে মারতে পারে। এগুলি সম্বল থাকলে সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড বিপক্ষে দাঁড়ালেও একলা সেই ব্যক্তি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হতে পারেন।” – স্বামী বিবেকানন্দ
“সারাদিন চলার পথে যদি কোন সমস্যার সম্মুখীন না হও, তাহলে বুঝবে তুমি ভুল পথে চলছো।” – স্বামী বিবেকানন্দ
13. “আমি বিশ্বাস করি যে, কেউ কিছু পাওয়ার উপযুক্ত হলে জগতের কোনো শক্তিই তাকে বঞ্চিত করতে পারে না।” – স্বামী বিবেকানন্দ
14. “সাফল্য লাভ করিতে হইলে প্রবল অধ্যবসায়, প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি থাকা চাই। অধ্যবসায়শীল সাধক বলেন, আমি গণ্ডূষে সমুদ্র পান করিবো। আমার ইচ্ছামাত্র পর্বত চূর্ণ হইয়া যাইবে। এইরুপ তেজ, এইরূপ সংকল্প আশ্রয় করিয়া খুব দৃঢ়ভাবে সাধন কর। নিশ্চয়ই লক্ষে উপনীত হইবে।” – স্বামী বিবেকানন্দ
15. “সাহসী লোকেরাই বড়ো বড়ো কাজ করতে পারে।” – স্বামী বিবেকানন্দ

16. “কাজ করো নির্ভীকভাবে। এগিয়ে চলো সত্য আর ভালোবাসা নিয়ে।” – স্বামী বিবেকানন্দ
17. “প্রত্যেকটি ধারণা যা আপনাকে দৃঢ় করে সেটাকে আপন করে নেওয়া উচিত এবং প্রত্যেকটি ধারণা যা আপনাকে দুর্বল করে দেয়, তা প্রত্যাখ্যান করা উচিত।” – স্বামী বিবেকানন্দ
“যখন আমাদের মধ্যে অহংকার থাকে না, তখনই আমরা সবথেকে ভালো কাজ করতে পারি।” – স্বামী বিবেকানন্দ
18. “তোমাদের সবার ভিতর মহাশক্তি আছে, নাস্তিকের ভিতর তা নেই। যারা আস্তিক তারা বীর, তাদের মহাশক্তির বিকাশ হবেই।”- স্বামী বিবেকানন্দ
19. “মহাশক্তি তোমাতে আসবে, ভয় নাই তার জন্য পবিত্র, বিশ্বাসী এবং আজ্ঞাবহ হও।” – স্বামী বিবেকানন্দ
20. “কোনো বড়ো কাজই কঠোর পরিশ্রম এবং কষ্ট স্বীকার ছাড়া হয়নি।” – স্বামী বিবেকানন্দ

21. “কেবলমাত্র সাহসীদের জন্যই মুক্তি আছে।” – স্বামী বিবেকানন্দ
22. “ভক্তি, যোগ এবং কর্ম মুক্তির এই তিনটি পথ। প্রত্যেকের কর্তব্য এই পথগুলি অনুসরণ করে চলা। তবে এই যুগে কর্মযোগ এর উপরেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।” – স্বামী বিবেকানন্দ
“মনের শক্তি সূর্যের কিরণের মত, যখন এটি এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত হয় তখনই এটি চকচক করে ওঠে।” – স্বামী বিবেকানন্দ
23. “আত্মার মধ্যে পূর্ব হইতেই মহিমা, তেজ ও পবিত্রতা রহিয়াছে। ব্যক্তই হউক আর অব্যক্তই হউক, যে-কোন আকারে হউক, ঐ শক্তি তোমাদের ভিতরে রহিয়াছে। তোমরা সব করিতে পারো। ইহা বিশ্বাস কর। মনে করিও না-তোমরা দুর্বল। অপরের সাহায্য ব্যতীতই তোমরা সব করিতে পারো।” – স্বামী বিবেকানন্দ
ধর্ম নিয়ে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী
স্বামীজি যে সমস্ত ধর্মীয় বানী গুলি বলে গিয়েছেন, তার মধ্য থেকে বিখ্যাত কিছু বানী নীচে দেওয়া হল-
1. “যত বেশী আমরা বাইরে গিয়ে অন্যদের ভালো করবো, আমাদের হৃদয় ততই বিশুদ্ধ হবে এবং ভগবান সেখানে বাস করবেন।” – স্বামী বিবেকানন্দ
2. “চোখ আমাদের পিছনের দিকে নয় সামনের দিকে, অতএব সামনের দিকে অগ্রসর হও। আর যেই ধর্মকে নিজের ধর্ম বলে গৌরববোধ করো, তার উপদেশ গুলিকে মেনে চলার চেষ্টা করো।” – স্বামী বিবেকানন্দ
“প্রথমে অন্নের ব্যবস্থা করতে হবে, তারপর ধর্ম।” – স্বামী বিবেকানন্দ
3. “ধর্ম হচ্ছে মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যে থাকা দেবত্বের প্রকাশ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
4. “অন্ন! অন্ন! যে ভগবান এখানে আমাকে অন্ন দিতে পারেন না তিনি যে আমাকে স্বর্গে অনন্ত সুখে রাখিবেন – ইহা আমি বিশ্বাস করিনা।” – স্বামী বিবেকানন্দ
আরও পড়ুন- Bangla quotes: পৃথিবীর বিখ্যাত ব্যক্তিদের উক্তি

5. “মানুষের সেবা করা হচ্ছে ঈশ্বরের সেবা করা।” – স্বামী বিবেকানন্দ
6. “দরিদ্র ব্যক্তিদের মধ্যে আমি যেন ঈশ্বরকে দেখি৷ নিজের মুক্তির জন্য তাদের কাছে গিয়ে তাদেরই পুজা করবো, ঈশ্বর তাদের মধ্যে রয়েছেন।” – স্বামী বিবেকানন্দ
“যে ধর্ম গরীবের দুঃখ দূর করে না, তা কি আবার ধর্ম?” – স্বামী বিবেকানন্দ
7. “পবিত্র ও নিঃস্বার্থ হতে চেষ্টা করো, তার মধ্যেই রয়েছে সমস্ত ধর্ম।” – স্বামী বিবেকানন্দ
8. “যতক্ষণ অন্তরের স্বার্থপরতা রয়েছে, ততক্ষণ ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসা অসম্ভব।” – স্বামী বিবেকানন্দ

9. “একজন নিখুঁত মানুষ ঈশ্বর ছাড়া কিছুই দেখতে পায় না।” – স্বামী বিবেকানন্দ
আরও পড়ুন- 120+ শিক্ষামূলক উক্তি এবং বানী (একদম নতুন)
10. “গীতা নয় ফুটবল খেলো।” – স্বামী বিবেকানন্দ
11. “যতক্ষণ পর্যন্ত আমার দেশের একটি কুকুরও ক্ষুধার্ত, আমার সমগ্র ধর্মকে একে খাওয়াতে হবে এবং এর সেবা করতে হবে, তা না করে অন্য যাই করা হোক না কেন তার সবই অধার্মিক।” – স্বামী বিবেকানন্দ
সমাজ নিয়ে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী
সমাজ নিয়ে বিবেকানন্দ অনেক কথা বলে গিয়েছেন। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা নীচে দেওয়া হল-
1. “আমাদের জাতীয় জীবন অতীতকালে মহৎ ছিল তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু আমি অকপটভাবে বিশ্বাস করি যে, আমাদের ভবিষ্যত আরও গৌরবান্বিত।” – স্বামী বিবেকানন্দ
2. “তোমরা কাজ করে চল। দেশবাসীর জন্য কিছু করো তাহলে তারাও তোমাদের সাহায্য করবে, সমগ্র জাতি তোমার পিছনে থাকবে। সাহসী হও, সাহসী হও! মানুষ একবারই মরে। আমার শিষ্যেরা যেন কখনো কোনমতে কাপুরুষ না হয়।” – স্বামী বিবেকানন্দ
“সমাজ অপরাধীদের কারণে খারাপ হয়না বরং ভালো মানুষদের নীরবতার কারণে হয়।” – স্বামী বিবেকানন্দ
3. “জগতের কল্যাণ স্ত্রী জাতির অভ্যুদয় না হলে সম্ভাবনা নেই।” – স্বামী বিবেকানন্দ
4. “পাঁচশো পুরুষের সাহায্যে ভারতবর্ষকে স্বাধীন করতে পঞ্চাশ বছর লাগতে পারে, কিন্তু পাঁচশো নারীর দ্বারা মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা করা যেতে পারে।” – স্বামী বিবেকানন্দ
আরও পড়ুন- মোটিভেশনাল উক্তি: বাংলা সেরা অনুপ্রেরণা মূলক উক্তি স্ট্যাটাস
5. “যে সমাজে শিক্ষিত, স্বনির্ভর, সচেতন মেয়ের সংখ্যা বেশী, সেই সমাজে বিচ্ছেদের সংখ্যাটা বেশী, বিয়ের সংখ্যাটা কম।” – স্বামী বিবেকানন্দ

6. “পুরুষরা মেয়েদের ভাগ্য গঠনের ভার গ্রহণ করাতেই নারী জাতির যত কিছু অনিষ্ট হয়েছে।” – স্বামী বিবেকানন্দ
7. “একটি রাষ্ট্রের অগ্রগতি জানার সবচেয়ে ভালো উপায় হল সেই রাষ্ট্রে নারীর অবস্থান।” – স্বামী বিবেকানন্দ
8. “যারা লক্ষ লক্ষ দরিদ্র ও নিষ্পেষিত নরনারীর বুকের রক্ত দিয়ে আয় করা টাকায় শিক্ষিত হয়ে এবং বিলাসিতায় আকণ্ঠ ডুবে থেকেও তাদের কথা একটিবারও চিন্তা করার অবসর পায় না-তাদের আমি বিশ্বাসঘাতক বলি।” – স্বামী বিবেকানন্দ
“আমাদের কর্তব্য নিম্নশ্রেণীর মানুষজনের শিক্ষা দেওয়া এবং তাদের বিনষ্টপ্রায় ব্যক্তিত্ববোধকে জাগিয়ে তোলা।” – স্বামী বিবেকানন্দ
9. “যেখানে মেয়েদের স্বাধীনতা নেই সেই জাত কখনও উন্নতি করতে পারে না।” – স্বামী বিবেকানন্দ
10. “জগতে মায়ের স্থান সকলের উপরে, কারণ মাতৃভাবেই সবচেয়ে বেশী নিংস্বার্থপরতা শিক্ষা ও প্রয়োগ করা হয়।” – স্বামী বিবেকানন্দ

11. “শুধু সংখ্যাধিক্য দ্বারাই কোনো মহৎ কাজ সম্পন্ন হয়না। অর্থ, ক্ষমতা, পান্ডিত্য কিংবা বক্তৃতা এইগুলির কোনটিরই বিশেষ কোনো মূল্য নেই।” – স্বামী বিবেকানন্দ
12. “আমাদের জাতের কোনও ভরসা নাই। কোনও একটা স্বাধীন চিন্তা কাহারও মাথায় আসে না – সেই ছেঁড়া কাঁথা, সকলে পড়ে টানাটানি।” – স্বামী বিবেকানন্দ
আরও পড়ুন- সফলতার উক্তি: সফলতা পেতে এগুলি মনে রাখুন
“মানুষকে সর্বদা তাহার দুর্বলতার বিষয় ভাবিতে বলা তাহার দুর্বলতার প্রতিকার নয় – তাহার শক্তির কথা স্মরণ করাইয়া দেওয়াই প্রতিকারের উপায়। তাহার মধ্যে যে শক্তি পূর্ব হইতে বিরাজিত, তাহার এই বিষয় স্মরণ করাইয়া দাও।” – স্বামী বিবেকানন্দ
13. “ভারতের নারীদের যে রকম হওয়া উচিত সীতা তারই আদর্শ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
14. “অন্ধ, মুচি….সমগ্র ভারতবাসী আমার ভাই।” – স্বামী বিবেকানন্দ
15. “বিশ্বের সমস্ত সম্পদ ভারতের একটি ছোট গ্রামে পৌঁছে দিলেও তার উন্নয়ন হবে না। যতক্ষণ না ওই গ্রামের মানুষ নিজেদের উন্নয়ন নিজেরা না করে।” – স্বামী বিবেকানন্দ

16. “মানুষ মূর্খের মত মনে করে যে স্বার্থপর উপায়ে সে নিজেকে সুখী করতে পারে। কিন্তু বহুকাল চেষ্টার পর অবশেষে বুঝতে পারে প্রকৃত সুখ স্বার্থতার নাশে।” – স্বামী বিবেকানন্দ
“যে পরের জন্য সব দিয়েছে, সেই মুক্ত হয়। আর যারা আমার মুক্তি আমার মুক্তি করে দিনরাত মাথা ঘামায় তাহারা ইতো নষ্টস্ততো ভ্রষ্ট হয়ে বেড়ায়।” – স্বামী বিবেকানন্দ
17. “আমরা যা এবং ভবিষ্যতে আমরা যা হবো, তার জন্য আমরাই দায়ী। আমাদের নিজেদের মধ্যে শক্তি আছে, আমাদের নিজেদের তৈরী করার জন্য। আমরা এখন যা হয়েছি তা আমাদের অতীতের কর্মের ফল, আমরা ভবিষ্যতে যা হবো তা আমাদের বর্তমানের কাজেরই ফল হবে। সুতরাং আমাদের জানতে হবে কিভাবে আমরা আমাদের কাজগুলো করবো।” – স্বামী বিবেকানন্দ
স্বামী বিবেকানন্দের বাণী গুলির দ্বারা আপনি যদি সামান্যতমও উপকৃত হন এবং জীবন ও সফলতার সঠিক পথ খুঁজে পেতে পারেন তাহলে আমাদের চেষ্টা সার্থক হবে।।